April 25, 2025, 3:17 pm

অম্লমধুর স্বাদের লটকন এখন বাজারে

লটকন, ফুল হয়না পাপড়িও জ্বরেনা সরাসরি কান্ড থেকে বের হয় লটকন। লটকন এক প্রকার দেশীয় ও অপ্রচলিত ফল, যা অত্যন্ত পুষ্টি ও ঔষধিগুণে ভরপুর। এর মাঝারি আকারের চির সবুজ বৃক্ষ। ফল গোলাকার ক্যাপসুলের মতো, পাকলে এর ফল হলুদ বর্ণ ধারণ করে। ফলের খোসা ছাড়ালে ৩/৪টি রসালো অম্লমধুর স্বাদের বীজ পাওয়া যায়। ফল হিসেবেই ব্যাপকভাবে ব্যবহার হয়। বর্তমানে এটি বাংলাদেশের নির্দিষ্ট কিছু স্থানে চাষ হচ্ছে যেমন- নরসিংদী, সিলেট, গাজীপুর, নেত্রকোনা ও ময়মনসিংহ জেলা উল্লেখযোগ্য এলাকা। তার মধ্যে নরসিংদী জেলার সদর, শিবপুর, রায়পুরা ও বেলাব উপজেলায় সবচেয়ে বেশি লটকন চাষ হচ্ছে। নরসিংদীর লটকনের সাদ অত্যন্ত বেশি এবং সারাদেশ ব্যাপী এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এখন বাজারে পুরিপূর্ণ ভাবে লটকন আসেনি, এখন বাজারে যে ফল পাওয়া যায় তা হলো আগাম ফল। আমরা বাজার ঘুরে দেখলাম বেশ কিছু লটকন ফলই এসেছে কৃষকের সাথে কথা বলে জানতে পারলাম। কৃষক ফরিদ মোল্লা জানান এই মৌসমে লটকন কম এসেছে
তবে ফল আগাম পাকাতে কৃষকে দাম ভাল পাচ্ছেন।রায়পুরা মরজাল সমতা বাজার থেকে পাইকারা মাল কিনে ভিবিন্ন জেলায় নিয়ে যায় এবং দেশের চাহিদা মিটিয়ে লটকন ফল বিদেশে ও রপ্তানী করছে।
লটকন অত্যন্ত পুষ্টিকর ও সুস্বাদু একটি ফল। সাধারণত লটকনকে ভিটামিন বি২ সমৃদ্ধ ফল বলা হয়ে থাকে। ভিটামিন বি২ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন, যা শরীরের জন্য খুব প্রয়োজনীয় উপাদান। এই ফলে চর্বি অত্যন্ত কম থাকায় ও কোন শর্করা নেই বিধায় সকল বয়সের মানুষ নিশ্চিন্তে খেতে পারেন ।
লটকনের যেমন পুষ্টিগুণ রয়েছে তেমনি তার ঔষধিগুণও রয়েছে। এই ফল খেলে বমি বমি ভাব দূর হয় ও তৃষ্ণা নিবারণ হয়। এছাড়াও যাদের ডায়াবেটিস আছে তারাও খেতে পারেন। লটকনের পাতা শুকনো করে গুঁড়া করে খেলে ডায়রিয়া ও মানসিক চাপ কমে। লটকন অম্ল মধুর ফল তাই এই ফল খেলে আমাদের মুখের স্বাদ বৃদ্ধি পায় এবং খাবারের রুচি বাড়ে। এছাড়াও তাতে পর্যাপ্ত আয়রন বা লৌহ উপাদান থাকায় দেহের রক্তশূন্যতা দূর হয়।

লটকনের চারা সংগ্রহ করে বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসে রোপণ করা উত্তম তবে বর্ষার শেষের দিকে অর্থাৎ ভাদ্র-আশ্বিন মাসেও চারা লাগানো যাবে। লটকন স্যাঁতসেঁতে ও আংশিক ছায়াযুক্ত পরিবেশে যেমন আম বা কাঁঠালের মতো বড় গাছের নিচেও ভালো জন্মে কিন্তু জলাবদ্ধতা সহ্য করতে পারে না। ৮-১০ দিন পানি জমে থাকলে গাছ মরে যেতে পারে। এজন্য, পানি দাঁড়ায় না, অথচ বৃষ্টিপাত বেশি হয় এমন এলাকায় বেলে-দো-আঁশ মাটি লটকন চাষের জন্য বেশি উপযোগী।

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ