April 25, 2025, 2:36 pm

অন্যের পুকুরের বন্যায় ভেসে আসা মাছ খাওয়া কি জায়েজ?

ইকবাল হোসাইন

সাম্প্রাতিক বন্যায় ১১ জেলার এ পর্যন্ত ৩১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। প্রায় ১২ লাখ ২৭ হাজার ৫৫৪টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বুধবার (২৮ আগস্ট) দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন (দুপুর ১টা পর্যন্ত) থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

বন্যার পানি বেড়ে গেলে ঘের বা পুকুর থেকে মাছ বের হয়ে আসে। খাল, বিল ও নদীতে এসব মাছ ছড়িয়ে পড়তে দেখা যায়। এভাবে ছড়িয়ে পড়া মাছগুলোর মধ্যে কোন মাছ কার পুকুরের তা শনাক্ত করার উপায় থাকে না। এমন প্রেক্ষাপটে অন্যের পুকুরের ভেসে আসা মাছ ধরে খাওয়া কি জায়েজ হবে কি না জানতে চান অনেকে?

বন্যার পানি দিয়ে অজু করা যাবে?

ইসলামি শরিয়তের আলোকে এর উত্তর হচ্ছে, মাছ যেহেতু ব্যক্তির মালিকানা থেকে বের হয়ে সাধারণ মাছের সাথে মিশে যায় এবং ওই সাধারণ সকল মাছ থেকে মালিকানাধীন মাছের নির্দিষ্ট মালিক খুঁজে বের করা সম্ভব নয়; তাই বন্যায় ভেসে যাওয়া মাছ খাওয়া জায়েজ  আছে। (রদ্দুল মুহতার: ৫/৬১; ইমদাদুল ফতোয়া: ৪/২১৫)

মূলত বন্যায় বের হয়ে যাওয়া মাছগুলোকে নিজের দাবি করার সুযোগ থাকে না। উদাহরণস্বরূপ নিজের পুকুরে বাইর থেকে মাছ ঢুকলে যেমন নিজের হয়ে যায়, তেমনি পুকুরের বাইরে বেরিয়ে গেলে সেই মাছটিও নিজ মালিকানা থেকে বাইরে চলে যায়।

যদি কারো মালিকানাধীন পুকুরের মাছ তার পুকুর থেকে বের হয়ে যায় এবং বন্যার পানির সঙ্গে নদীতে গিয়ে মিশে। পরবর্তীতে যদি এই মাছ আর কোনোভাবে আলাদা করার ও নির্দিষ্ট মালিক এই মাছ খুঁজে বের করার বা পুকুরে ফিরিয়ে নেওয়ার কোনো উপায় না থাকে, তাহলে ওই মাছ শিকার করা ও খাওয়া যাবে। কারণ, পুকুর থেকে বের হয়ে যাওয়ার কারণে ওই মাছ সাধারণ নদীর মাছের মতোই হয়ে যায়। ওইসব মাছ ধরা ও খাওয়া জায়েজ হবে।

প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় নবীজির আমল

এই কারণে ফেকাহবিদ আলেমদের মতে, বন্যার পানিতে যেসব মাছ ভেসে আসে, সেগুলো শিকার করা এবং খাওয়া জায়েজ হবে। (ফতোয়ায়ে হিন্দিয়া-৫/৪২০, আররদ্দুল মুহতার- ৫/৬১)ছে। (রদ্দুল মুহতার: ৫/৬১; ইমদাদুল ফতোয়া: ৪/২১৫)

 

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ